২২ দিন ধরে এক মডেলকে একটি ফ্ল্যাটে বন্দি অবস্থায় রেখে তার ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। মডেলটিকে মূত্রপান করতে বাধ্য করেছিল অভিযুক্ত, এমনকি তার সারা শরীরে ছ্যাঁকা দিয়ে পুড়িয়েও দিয়েছে। খাবার আনতে ফ্ল্যাটের বাইরে গেলে কোনোরকমে পালিয়ে যান সেই মডেল। এমনটাই জানিয়েছেন কোচির এক ফ্ল্যাটে আটক থাকা ওই মডেল।
ঘটনাটি মাস তিনেক আগের। কোচির এক ফ্ল্যাটে মডেলকে (২৪) আটকে রেখে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ সে পুলিশে অভিযোগ করেছে। তবে পুলিশ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন ওই মডেল।
বিষয়টি জানার পর নির্যাতিতার এক বন্ধু চোট-আঘাতে ভরপুর ওই মডেলের বেশ কিছু ছবি সোমবার প্রকাশ করে সুবিচারের দাবি চাইলেন। সেই ছবিতে মডেলের শরীরে প্রচুর মারের দাগ, এমনকি পুড়িয়ে দেয়ার চিহ্ন দেখা যায়। গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে পুলিশে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মামলা দায়েরের পর থেকেই পলাতক। পুলিশ অভিযুক্তর খোঁজ চালাচ্ছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আগেই হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন অভিযুক্ত। মঙ্গলবার (৮ জুন) আদালতের পক্ষ থেকে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে মামলার সঙ্গে জড়িত সব তথ্য শুক্রবারের মধ্যে আদালতে জমা দিতে।
কোচির পুলিশ কমিশনার সি নাগরাজু জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
উত্তর কেরালার বাসিন্দা ওই মডেল নিজের অভিযোগের কপিতে জানিয়েছেন ২২ দিন ধরে তাকে কোচির একটি ফ্ল্যাটে বন্দি অবস্থায় রাখা হয়েছিল এবং তার ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। তিনি আরও বলেন, তাকে মূত্রপান করতে বাধ্য করেছিল অভিযুক্ত, এমনকি তার সারা শরীরে ছ্যাঁকা দিয়ে পুড়িয়েও দিয়েছে। খাবার আনতে ফ্ল্যাটের বাইরে গেলে কোনোরকমে পালিয়ে যান তিনি। অভিযুক্তর কাছে নির্যাতিতার বেশকিছু আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও থাকায় পুলিশের কাছে অভিযোগ না- জানানোর ভয় দেখানো হয়েছিল তাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তর সঙ্গে নাকি লিভ টুগেদার করতেন এই মডেল। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন, অবৈধভাগে আটকসহ নানান ধারায় এফআইআর রুজু হয়েছে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে।